রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ অপরাহ্ন
বারের যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ‘ধ্রুবতারা’ হয়ে ছিল আফিফ হোসেন। বিশেষণটি মানিয়ে গেছে কেবল তাঁর ডাক নাম ‘ধ্রুব’ বলেই নয়, তিনি আসলেই নিউজিল্যান্ডে পথ দেখিয়েছে দলকে। দেশের মাটিতে গত আসরে তৃতীয় হওয়া দলটি এবার পঞ্চমও হতে পারেনি। বড় দলগুলির মধ্যে একমাত্র ইংল্যান্ডকেই পঞ্চম স্থান নির্ধারণী প্লে অফে হারাতে পেরেছে বাংলাদেশ। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারত আর পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় ব্যবধানে হারের এই টুর্নামেন্টে নিজেকে দারুণভাবেই আলাদা করেছে অলরাউন্ডার আফিফ। ব্যাটে-বলে অসাধারণ এই যুবা ক্রিকেটারকে সে কারণেই ‘উদীয়মান তারকা’ বলছে আইসিসি।
নিজেদের ওয়েবসাইটে যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে বিশ্লেষণে আফিফের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করা হয়েছে, ‘কঠিন সময়ে পারফর্ম করার সামর্থ্য দেখিয়েছে আফিফ। পুরো প্রতিযোগিতায় সে মোট চারটি ফিফটি করেছে, এগুলোর মধ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭১ রানের ইনিংসটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছে সে। যার ফলে ইংলিশরা অল্পতেই সেদিন গুটিয়ে গিয়েছিল।’
অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণে আফিফ নজর কেড়েছে বিখ্যাত ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন-ক্রিকইনফোরও। তাদের বিচারে যুব বিশ্বকাপের সেরা একাদশে স্থান পেয়েছে সে। বাস্তব কারণেই যে একাদশে ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারদের আধিক্য।
১৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার অবশ্য আলোচনায় এসেছে বছর খানিক আগেই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে আফিফ ৫ উইকেট নিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল। ২০১৬ সালের বিপিএলে রাজশাহী কিংসের হয়ে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ২১ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিল সে। এর মধ্যে ছিল ক্রিস গেইলের উইকেট। গত নভেম্বর-ডিসেম্বরের বিপিএলে খুলনার হয়ে সাবেক দল রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে তার ৫৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসটিও যথেষ্ট আলোচিত।
নিউজিল্যান্ডে যুব বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশ যুবদলের কোচ ডেমিয়েন রাইট আফিফের ওপর দারুণ আস্থা রেখেছিলেন। এই অলরাউন্ডারকে প্রতিযোগিতার সেরা ‘বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান’ বলেছিলেন। আফিফ কোচের মন্তব্যের মর্যাদা রেখেছে দারুণভাবেই।